ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পরীক্ষায় বসার জন্য খুলতে হল অন্তর্বাস!

porঅনলাইন ডেস্ক :::

রোববার কেরালার কন্নুরে ডাক্তারি পড়ার জন্য ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট বা নিট-এর পরীক্ষা কেন্দ্রে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটল। কারোকে খুলতে হল অন্তর্বাস, কারোকে বা জিনস, কারোকে কাটতে হল জামার হাতা। এমনকী, কানের দুলের জন্য যে ছিদ্র থাকে, তা-ও নেড়ে-ঘেঁটে দেখেলেন রক্ষীরা।

পরীক্ষার পরে এক ছাত্রী দাবি করেন, তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতরে যাওয়ার পরে তার পোশাক খুঁটিয়ে দেখে বলা হয় বাইরে গিয়ে অন্তর্বাস খুলে আসতে, কারণ সেখানে ধাতব হুক ছিল। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও ধাতব জিনিস নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে আগেই নাকি জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

একই কারণে অন্য এক ছাত্রীর বাবাকে পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েক কিলোমিটার দুরের একটি দোকান খুলিয়ে নতুন পোশাক এনে দিতে হয়েছে। কারণ সেই ছাত্রী জিনস পড়েছিলেন, যাতে ধাতব বোতাম ও পকেট ছিল।

পরীক্ষা কেন্দ্রে ফুলহাতা জামা না পরারও নির্দেশ ছিল। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মানতে গিয়ে কোনও ছাত্রকে ফুলহাতা জামার হাতাও কেটে ফেলতে হয় পরীক্ষা দিতে বসার আগে।
স্থানীয় বাসিন্দারাও ছাত্রীদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন। একটি পরিবার বিভিন্ন ছাত্রীদের প্রায় ৬টি টপ দিয়ে সাহায্য করেছেন, কারণ তারা ফুলহাতা পোশাক পরে এসেছিলেন।

এক অভিভাবক জানান, ‘এই হেনস্থার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে চিঠি লিখব। এই অবস্থার মধ্যে কোনও ছাত্রছাত্রী ঠিক করে পরীক্ষা দিতে পারে?’

পরীক্ষা কেন্দ্রের আধিকারিক ও টিস্ক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষ অবশ্য তাঁদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, ‘আমরা আগেই নির্দেশিকায় বলে দিয়েছিলাম, যদি মেটাল ডিটেক্টর শব্দ করে, তা হলে সেই প্রার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’ তবে তিনি অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

নিট-এর নির্দেশিকা অবশ্য বলছে, মহিলা পরীক্ষার্থীদের হাফ হাতা হালকা পোশাক পরতে বলা হয়েছিল। পোশাকে যাতে কোনও বড় বোতাম, ব্যাজ বা ফুল না থাকে সে কথাও বলা ছিল। সালওয়ার বা প্যান্ট পরার অনুমতি থাকলেও, পা ঢাকা জুতো না পরতে বলা হয়েছিল। নিয়মে লেখা ছিল কোনও ধাতব পদার্থও পরীক্ষা হলে নিয়ে যাওয়া যাবে না।
 

পাঠকের মতামত: